কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পাটিকাবাড়ি এলাকায় (কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা ) সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ঘন্টাব্যাপি সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় গাড়িতে থাকা যাত্রীসহ গাড়ি চালকদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুটকরে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।
গেল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ি এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অন্তত ০৬ থেকে ০৭ টি গাড়িতে ডাকাতি করে ডাকাত দলের ০৮ থেকে ১০ জন সদস্য। যার বর্ণনা দিয়েছেন ওই রাতে ডাকাতির কবলে পড়া একাধিক ভুক্তভোগী।
চুয়াডাঙ্গা সদরের ব্যাবসায়ী ভুক্তভোগী ফারুক আহমেদ বলেন, পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে চিকিৎসা শেষে রাজশাহী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া পার হয়ে কুষ্টিয়া -চুয়াডাঙ্গা সড়কের হালসা ও পাটিকাবাড়ি এলাকায় তাদের ব্যাহৃত বেক্তিগত গাড়িটি পৌছালে সামনে একটি ট্রাক দাড় করানো দেখে তাদের গাড়িটি ট্রাকের পেছনে থামিয়ে দেয়। এর পরে ঘটে বিপত্তি, এ সময় গাড়ির সামনে থেকে এসে কয়েকজন গাড়ির চালকে মারধর করে গাড়ির জানালা খুলে দিতে বলে। একপর্যায়ে গাড়ির জানালা খুলে দিলে তাদের বাজে ভাষায় গালাগালি করে পরিবারের মেয়ে সদস্যের কাছে থাকা স্বর্ণের গহনা ও কাছে থাকা কিছু নগদ টাকা সহ মোট আড়ায় লক্ষ টকার জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
ব্যাবসায়ী ফারুক আরো বলেন, ডাকাতের কবলে পড়ে প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করা হয় পরে কুষ্টিয়া পুলিশ কেন্ট্রোলরুমে জানালে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা এসে আমাদের উদ্ধার করে এসময় ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এখন পর্যন্ত থানাতে কোন অভিযোগ দেইনি তবে অভিযোগের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মামুন রহমান’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাটিকাবাড়ি ক্যাম্পে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) মনজুরুল ইসলাম বালো বলতে পারবেন আপনি তার সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপ পরিদর্শক মনজুরুল ইসলাম বলেন, পাটিকাবাড়ি এলাকায় রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ১০ চাকার ড্রাম টাক আটকিয়েছিলো তিনজন ছেলে পরে আমরা ও হালসা ক্যাম্পের পুলিশ গিয়ে তা সরিয়ে দিয়েছি। তখন আমারা স্টিল ব্রিজের কাছে ডিউটিতে ছিলাম। তবে সেখানে ছিনতাই বা ডাকাতির ঘটনা জানেন না বলে জানান তিনি।