খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মইনুল ইসলাম (৪০) অবশেষে মারাগেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মইনুল ইসলাম দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও একই ইউনিয়নের বালিরদিয়াড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজী প্রামাণিকের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে বালিরদিয়াড় পশ্চিমপাড়া গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য ও পূর্ব বিরোধ নিয়ে আলম মোল্লা অর্থাৎ ঘোষ পক্ষের লোকজনের সাথে মইনুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘোষ পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মইনুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও তার একটি হাত কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মইনুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তিনি ১২দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
মারা যাওয়ার সংবাদ দৌলতপুরে পৌছালে আলম মোল্লার ৬ পরিবারের ঘরবাড়ী লুটপাট করে ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ভষ্মিভূত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
দৌলতপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মইনুল ইসলাম প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার পর পরই থানায় মামলা হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। নিহতের লাশ ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে দৌলতপুরে নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতয়েন রয়েছে।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি