মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম্য সালিশে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
আহতরা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষের লোকজন একে অপরের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সিরাজনগর গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র দুই নেতা মাসুদ রানা ও ইকবাল হোসেনের মধ্যে চলমান বিরোধ মিমাংসার জন্য স্থানীয় বজ্র ক্লাবে সালিশে বসেন দুই পক্ষের লোকজন। ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সালিশ শুরু হলে মাসুদ ও ইকবাল কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০-৬০জন দেশীয় অস্ত্রে সজিত¦ হয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়্ াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতা হেলাল, খোকন, আতাহার আলীর বাড়ি, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করা হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শহিদুল ঘোষ (৪৫), রোকন (৩৪), আজ্জোল আলী (৫৩), গ্রুপ প্রধান ইকবাল হোসেন (৪০), রিপন (৪৫), এমরান (২৬), রিংকু (৩২), লিংকন (২৫) নজু (৬৫), রহমতুল্লাহ (৪৭) ও সজিব (২৩) সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শহিদুল ঘোষ, রিপন, লিংকন, রোকন ও আজ্জোল কে গুরুতর অবস্থায় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাঁকী আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, সালিশ কে কেন্দ্র দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়ি-ঘর ভংচুর ও লুটের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।