দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আছানুল হক এর দৌলতখালী বাজারস্থ ওয়ালটন শোরুমে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকাল অনুমানিক ৫ টার পরে এই হামলা হয়েছে। আছানুল হক বলেন, সোমবার বিকালে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা অবস্থায়। হঠাৎ দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক টুটুল মোল্লা ও তার বড় ভায়ের ছেলে তরিকুল ও শরিফুল সহ তিন জন দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া নিয়ে হামলা চালায়।
আমি নিজের জীবন বাঁচাতে শোরুমের সামনের গ্লাসের দরজা লাগিয়ে দিয়ে শোরুমের পিছনে দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় টুটুল শোরুমের ভাংচুর লুটপাট চালাই এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ২ টা, সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা সহ শোরুমের অনেক মালামাল লুট হয়ে যায়।
কেন এমন হামলা হলো জানতে চাইলে আছানুল হক বলেন, ২০১৯ সালে টুটুলের স্ত্রী ও তার খালু শোশুর রাজু আহম্মেদ দৌলতপুর থানায় তার মাদক ব্যবসা নিয়ে অভিযোগ দেন, দৌলতপুর থানায় এবং দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেন, সেই সংবাদ সম্মেলন পত্র পত্রিকা প্রকাশিত করার পর থেকে হুমকি দিতে থাকে টুটুল।
পরে টুটুলের মাদক, হুন্ডি ব্যবসার তথ্য পায়। পরে মাদক ও হুন্ডি ব্যবসা নিয়ে নিউজ প্রকাশ করলে তার অস্ত্র ব্যবসার তথ্য হাতে আসে এবং অস্ত্র ব্যবসার নিউজ না করতে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরে তাদের ব্যবসার পরিধি দেখে চুপ হয়ে যায়।
এই সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকার কারনে টুটুল বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। সরকার পতনের পরে টুটুল দলীয় লেবাচ ব্যবহার করে তার পূর্বের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার উপর হামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদল নেতা টুটুল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি ফোনকল রিসিভ করেন নাই। এ বিষয় দৌলতপুর উপজেলা বি এন পি’র সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন আমি খুলনায় দলীয় মিটিংয়ে আছি ফিরে বিষয়টা দেখবো। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।