আমি নুরুজ্জামান বিশ্বাস ইন্ডাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার মঈনুল ইসলাম,আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত” কিছু অন লাইন ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর যার শিরোনাম
“মজুরি বৈষম্য ও শ্রমিক নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ” “দৌলতপুরে কারখানায় তরুণ শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য”।
খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আমাদের কারখানার মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে কে বা কারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে, সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এই বানোয়াট মিথ্যা কাল্পনিক খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
প্রকৃত ঘটনা গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ কারখানায় দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের গাড়ি চালক আহাদের ছেলে রনি (২৮) চুরির মালামাল সহ গেটে ধরা পড়ে, গেটম্যান তাকে ধরে একটি ঘরে আটকে রাখে, যোহরের নামাজ পড়া শেষে তার বিচার হবে বলে তাকে জানায়। এ সময়ের মধ্যে সে প্যান্টের নাইলোনের বেল্ট গলায় আটকে আত্মহত্যা করে।
তাকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে বের করা হয় এবং বেঁচে আছে বলে চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ কে খবর দেয় এবং তার ময়না তদন্ত করার জন্য বলা হয়।
এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শ্রমিকের অভিভাবক বৃন্দ পোস্টমর্ডাম করতে আপত্তি জানায়। বিষয়টি একপর্যায়ে আপোষ নিষ্পত্তি হয়। উভয় পক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে, একটি লিখিত অঙ্গীকার নামা হয়।
পুলিশ লাশ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করে এবং দাফনের ব্যবস্থা করার অনুমতি দেয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় বলেই অভিভাবক বৃন্দ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রকাশিত এই খবরের সাথে, প্রকৃত এ ঘটনার সাংঘর্ষিক রয়েছে। যা কাল্পনিক,বানোয়াট মিথ্যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা এই খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের বানোয়াট খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য সাবধান করা হচ্ছে।