খন্দকার জালাল উদ্দীন : প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। এতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। নদী থেকে মাত্র ২৫-৩০ মিটার দূরে আছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। এরই মধ্যে কিছু ঘরবাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। তবে এখনো নদীতে পানি থাকায় ভাঙ্গন তীব্র হয়নি।
পানি আরও কমলে পদ্মা পারের মানুষ ভাঙ্গন বাড়ার আশঙ্কা করছেন। আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিছুদিন আগে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সম্প্রতি ওই পানি কমতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাঙ্গন রোধে কাজ করছেন তারা। এছাড়াও একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের দাবি। সরজমিনে দেখা যায় যে দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম উদয়নগর বেশ কয়েক বছর ধরে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। হারাতে বসেছে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার, শত শত একর আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি।
ভেঙ্গেছে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। এখন ভাঙ্গন থেকে মাত্র ২৫-৩০ মিটার দূরে আছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। এরই মধ্যে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্পের পাশে থাকা আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া রয়েছে দোকানপাট, হাটবাজার, মসজিদসহ নানা স্থাপনা। এলাকাবাসী জানায়, আর ৫০ মিটারের মতো নদী ভাঙ্গলে বাংলাদেশ অংশে থাকা আরও দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। এছাড়া ইউনিয়নটির মানিকের চরের পশ্চিম পাশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকা বিজিবি ক্যাম্পটিও হুমকির মুখে পড়েছে। এখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, নদীর পানি কিছুটা কমেছে। উদয়নগর ও মানিকের চরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি কমার সঙ্গে এর তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান উদয়নগর বিওপির ২৫ থেকে ৩০ মিটার দূরে নদীর অবস্থান। এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন
বোর্ডের সহায়তায় ২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে সরকারি এই স্থাপনাসহ এখানে বসবাস করা দুই থেকে তিন হাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার চেষ্টা করছি।কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ভাঙ্গন রোধে আমরা কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে উদয়নগর ও মানিকের চর এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠাবো। এ দিকে আবারও মঙ্গলবার ভারী বর্ষণে নদী এলাকার নিম্মা অঞ্চল ডুবে গেছে।