খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজে কর্মরত কর্মচারী আলী হোসেন ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে তিন নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাহাজ উদ্দিন বলেন, গত বুধবার রাতে জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজের তেলের দোকানে আগুল লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয় ওই দোকানের কর্মচারী মথুরাপুর মধ্যপাড়া গ্রামের হানিফের ছেলে হোচেন আলী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকায় শেখ হাসিনাবাদ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। আজ রাতে মথুরাপুর কবরস্থানে দাফন হবে আলী হোসেনের লাশ।
উল্লেখ্য নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গোড়ে তোলা মথুরাপুর বড় বাজারের জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজ এর ভিতরে ইলেকট্রিক মটর বসিয়ে চালানো হতো মিনি ফিলিং স্টেশনের কার্যকর্ম। জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজের ওই দোকানে ডিজেল, পেট্রল, মোবিল ও কেরোসিন বিক্রি করা হতো।
বুধবার রাতে দোকানের মধ্যে থেকে আগুন লাগে । বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। পরে মিরপুর ও মেহেরপুরের গাংনী থেকে আরও তিন ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৫ ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ২টা ২০ মিনিটের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে পুড়ে যায় গোটা দোকানটি সহ আশে পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজের মত দৌলতপুরে প্রতিটা বাজারে গড়ে উঠেছে অনুমোদন বিহীন অবৈধ মিনি ফিলিং স্টেশন । যেমন প্রাগপুর বাজারে মেসার্স আফসারা ট্রেডার্স , ডাংমড়কা বাজারে ৷ হোসেনাবাদ বাজারে রিপেল হোসেনের দোকান । আল্লার দর্গা বাজারে কামাল শাহ্’র দোকান। আবেদের ঘাট বাজারে সবুজের দোকান তারাও কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে মিনি ফিলিং স্টেশন যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বলে দাবি এলাবাসীর।এদিকে সরোজমিনে গত ৩১/১০/২০২৪ইং উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গড়ে উঠা এসব ভয়ংকর বোমা সদৃশ্য জ্বালানি তেলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার লিটার পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিন বড় বড় ড্রামে ভরে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, এসব জ্বালানী তেলের দোকানগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা রয়েছে ঝুঁকি’র মধ্যে।
এ সময় এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে তারা ব্যাবসা করছে,অথচ সরোজমিনে নানান অনিয়মের বিষয় উঠে আসে।এ সময় দেখা যায়, যে পরিমান জ্বালানী তেল সর্বোচ্চ পরিমান মজুত রাখার কথা তার চেয়ে অধিক পরিমান জ্বালানী তেল মজুত রয়েছে,এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমান অগ্নি নির্বাপক ফায়ার সিলিন্ডার নেই,
অনেকের আবার ফায়ার সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীন্ন, এ ছাড়াও এসব দাহ্য পদার্থ বিক্রির দোকানগুলো বাজারের মধ্যে অবস্থিত ফলে একই দেওয়ালের সাথে লাগোয়া অন্য দোকান আছে আর এ কারনেই একটি জ্বালানী তেলের দোকানের জন্য পুরো বাজারই আছে অগ্নি ঝুঁকি’র মধ্যে। এ দিকে অভিযুক্ত দোকানীদের দাবি তারা নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছেন।
জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসিবুর রহমান বলেন, আমি মানসিকভাবে টেনশন এ আছি এসব বিষয়ে আমি পরে কথা বলব। এ বিষয় দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ আওয়াল কবীর বলেন এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ হয় নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।