খন্দকার জালাল উদ্দীন: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের প্রবাসী স্ত্রী তানিয়া খাতুনের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় প্রবাসী স্ত্রী তানিয়া খাতুন ও প্রবাসী আলিফ উজ্জামান রনি বলেন, মৃত সামসুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস (৬০), মোঃ নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫) ও ময়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন (৪০), মোঃ সুমন (৩৫) ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ নয়ন (২৮) মোঃ নিয়ন (২৮) এর সহিত আমার চর হোগলবাড়িয়া মৌজায় এসএ ১০৬৫ দাগে এবং আরএস ৪৭০ খতিয়ানে ১৫২৩ দাগে ২৫ একর জমাজমি লইয়া বিরো চলছে।
এই জমিতে আমার বাড়ি ঘর রহিয়াছে। উক্ত ব্যক্তিরা আমাদের জমি জবর দখল করিবে মর্মে হুমকি ধামকি দেওয়ায় বিজ্ঞ হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা নং-৫১৩০/২৪ দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত গত ইং-২৭ নভেম্বর তারিখ হইতে স্টেটার্সকো আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া গড ১৭ তারিখ সকাল অনুমার ৮ টার সময় আমার নালিশী জমিতে থাকা ১০০ খানা বাঁশ কাটিয়া নেয় অনুমান ৩০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে।
সেই সময় আমি বাধা দিলে আমাকে মারমুখী আচারন সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দেয়। ইতিপূর্বে আমার জমিতে থাকা বাঁশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কাটিয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করিয়াছে তারা। ইহা ছাড়াও আমার শ্বশুর মুনসুর আলী বিশ্বাসের নামীয় চর হোগলবাড়িয়া মৌজায় ৩৭১ খতিয়ানে ১৫২২ দাগে ০৮ শতক জমিতে থাকা বাঁশ বাগান রহিয়াছে। উক্ত বাঁশ বাগান হইতে তারা বিভিন্ন সময় প্রায় ৫০,০০০/- টাকার বাঁশ কাটিয়া ক্ষতি সাধন করিয়াছে। আমার বোন মোস্তারি খানম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। সকল ঘটনার তদন্ত করে বিচার চাই আমি।
এ দিকে এলাকাবাসী বলেন, এই জমি ১৯৭৪ সালে সরকারি ক তফসিলে জমি হয়ে গেছে এই জমি টা এখন খাস জমি, তবে আমাদের দেখা মতে দীর্ঘ ৫০ থেকে ৬০ বছর আলিফ উজ্জামান রনির পিতা ও রনিদের দখলে আছে। এ বিষয়ে ময়েন উদ্দিন ও তার ছেলে সুমন বলেন আমাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমরা যা করেছি বৈধ ভাবেই করছি। এ বিষয় দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ আওয়াল কবীর বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি