মো: জহুরুল ইসলাম: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপির ফিলিপনগর গ্রামের এক নাবালিকা কন্যার গোপনে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে দেবার প্রতিবাদ করায় ঐ কন্যার পিতার বিরুদ্ধে চাঁদাবজির মামলা করেছে সংশ্লিষ্ট নিকাহ্ রেজিষ্টার।
নিজের মেয়ের গোপনে বিয়ে রেজিষ্টি করার প্রতিবাদ করায় কাজী‘র মামলা করার ধৃষ্টতা দেখে এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়,ফিলিপনগর গ্রামের আতিকুর রহমান বিশুর কন্যা বৃষ্টি আক্তার (১৫) পরিবারের অজান্তে
স্থানীয় এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা দুই পরিবারের অজান্তে বিয়ে করেন।
অ-প্রাপ্ত বয়সীদের বিয়ে পড়ানো বে-আইনি হলেও গোপনে তাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার ওলিউল্লাহ বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন।
খবর পেয়ে আতিকুর রহমান বিশু নিকাহ্ রেজিষ্টার ওলিউল্লাহ কাজীর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওলিউল্লাহ কাজী ক্ষিপ্ত হয়ে তোমার মেয়ের বিয়ে আমি নিজে পড়িয়েছি। যা ইচ্ছে তা করতে পারো বলে হুমকি দেন। এসময় আতিকুর রহমান বিশু আইনের আশ্রয় নেবার জন্য কাবিননামা চাইলে কাজী তা দিতে অস্বীকর করেন।
নিজের অপকর্ম আড়াল করতে নিকাহ্ রেজিষ্টার ওলিউল্লাহ দৌলতপুর থানায় আতিকুর রহমান বিশু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে চাঁদাবজির মামলা করেন। মামলা নং ৩২/১৮৩ তাং ১৩/০৪/২০২২।
এ ব্যাপারে নিকাহ্ রেজিষ্টার ওলিউল্লাহ নিকট জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আতিকুর রহমান বিশু দাবী করেন, ওলিউল্লাহ কাজী প্রতিনিয়ত অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েদের গোপনে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে আসছেন। এ কারণে তিনি জেল খেটেছেন।
ফিলিপনগর ইউপির চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টু জানান, ওলিউল্লাহ কাজী এক সময় লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডার ছিল। জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে তিনি বিধি বহির্ভৃত ভাবে কাজীর লাইসেন্স করেন। তাছাড়া ঐ কাজী গোপনে বাল্য বিয়ে সহ নানা কু-কর্মে জড়িত বলে তিনি জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ওসি জাবীদ হাসান জানান, কাজী ওলিউল্লাহ যে মামলা করেছেন সেটি তদন্ত চলছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। যদি ঘটনা মিথ্যা হয় তাহলে কাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।