খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ফারাকপুর গ্রামে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় গত ২০ মে মারপিট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মজির উদ্দিন মাস্টার জানান, আমার নাতনীর বিয়ে হয় একই এলাকার ভাসানের ছেলে সাদ্দাম এর সঙ্গে। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে কিছুদিন আগে আমার নাতনি গর্ভবতী হলে ভাসান গর্ভপাত করার জন্য চেষ্টা করে। গর্ভপাত করানোর ঔষধ এনে খাওয়ানোর চেষ্টা করলে আমার নাতনি খেতে অস্বীকৃতি জানালে, তাকে সকলে মিলে মারধর করে। আমার আত্মীয়-স্বজন এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে সাদ্দাম ও তার লোকজন হামিদুল, সোহান, সিদ্দিক, আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সময় আমাদের চার জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। আমার নাতনির গর্ভে থাকা সন্তান সাদ্দামের লাথিতে নষ্ট হয়ে যায়। আমার নাতনী সহ আমার আত্মীয়-স্বজন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। আমি ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার আশা করছি। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের,মেয়ের সাদ্দামের সাথে বিয়ের পর থেকে সাদ্দাম ও তার পরিবারের লোকজন অত্যাচার করে আসছে। আমরা কিছুদিন আগে একটি আদালতে মামলা ও করেছিলাম। মামলাটি তুলে নেয়ার সাথে সাথেই আবার অত্যাচার শুরু করে। গত ২০ তারিখে আমাদের ওপর হামলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাট করে সাদ্দামের লোকজন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে যায় তারা। তাই এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলে তার বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার আবু জাফর জানান, আমি এই বিষয়ে তদন্ত করছি তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।,