দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নাহারুল ইসলাম নামের এক সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার আল্লার দর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগে জানান, সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলাম আল্লার দর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় তার বাসায় ডেকে বিভিন্ন রকম অশ্লীল কথাবার্তা বলে এবং ওই ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌননিপীড়ন করে থাকতেন। সর্বশেষ গত ৮-৯-২২ তারিখে ক্লাস চলাকালীন সময়ে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়টির পুরাতন ভবনের বারান্দায় ডেকে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলাম।
ঘটনার বিষয়ে ওই ছাত্রী পরদিন তার অভিভাবককে বিষয়টি বললে তার অভিভাবকবৃন্দ এসে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কে বিষয়টি অবগত করেন। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হোগলবাড়িয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী শিক্ষকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে বিষয়টি সুনামেলার জন্য বসলে মুহূর্তের মধ্যেই ওই স্কুল ছাত্রীর সহপাঠীদের মধ্যে যৌন-নিপীড়নের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নাহারুন কে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আল্লার দর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি মহল জানাই, অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক নাহারুল ইসলাম অতীতেও একই ধরনের কর্মকান্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে প্রায় দশ মাস সাময়িক বরখাস্ত করে রেখেছিল স্কুল পরিচালনা পরিষদ।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হোগলবাড়িয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আল্লার দর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি শুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। সেখানে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজন। পুলিশ অভিযুক্ত নাহারুলকে আটক করে নিয়ে গেছে। আমরাও যৌন-নিপীড়নের এই ঘটনায় সহকারী শিক্ষক নাহারুলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমলে নিয়ে পরিচালনা পরিষদের মিটিং ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান,ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নাহারুল ইসলাম নামে এক শিক্ষককে আমরা আটক করেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।