খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৩১টি ইট ভাটা সরকারী নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে ৩ ফসলী জমির মাটি কাঁটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
ইট ভাটর মৌসুম শুরুর মাস খানেক মাটি কাটা ও বহন বন্ধ থাকলেও হঠাৎ করে কয়েক দিন ধরে মাটি কাটা ও বহন করার ধুম পড়ে গেছে। রাত-দিন সমান তালে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান এবং ড্রাম ট্রাকে করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মাটি বাহী এ সব শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান এবং ড্রাম ট্রাক বে-পরোয়া ভাবে চলাচল করায় প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত ওজন বহন করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল এবং গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে চলাচল কারী সাধারন মানুষ কে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ আইন লংঘন করে এবং সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কৃষি জমিতে মোট ৩১টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার তথ্যমতে এ সকল ইটভাটার কোন অনুমতি বা লাইসেন্স নাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইটভাটা মালিক জানান, আমরা সাংবাদিক ও প্রসাশনকে নিফমিত অর্থ প্রদান করে থাকি, এ ছাড়া মাটি না কাটলে ইট তৈরী ব্যাহত হবে এবং ইটের দাম বেড়ে যাবে।
তাই তিনি লেখা লেখি না করার অনুরোধ জানান।
তা ছাড়া এ সকল ইটভাটায় জ্বালানী হিসাবে কয়লার পরিবর্তে প্রতিদিন কয়েক‘শ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। যে কারণে, গাছ পালা উজাড় হয়ে পরিবেশের ভার সাম্য হারিয়ে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন, দৌলতপুর খান পাড়া, সাদিপুর, স্বরুপপুর, চকদৌলতপুর, ডাংমড়কা এলাকায় বেশীর ভাগ ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। জন বসতি পূর্ণ ও দুই/তিন ফসলি জমিতে এসকল ইটভাটা তৈরী করা হয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ইটভাটায় মাটি বহন ও কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল জব্বার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।