দৌলতপুর প্রতিনিধি :কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবী করায় থানায় এজাহার করেছেন জাহিদ হাসান।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, আমি মোঃ জাহিদ হাসান (৩৪), এন আই ডি নং-৪৬১০৬৯২০৭৩, জন্ম তারিখ-১০/০২/১৯৮৯ ইং, পিতা-মৃত ইউনুস আলী, সাং-ভাগজোত বাজার, ইউপি-রামকৃষ্ণপুর, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া থানায় হাজির হইয়া আসামী ১। মোঃ শাহিন রেড (৩৫), পিতা-সোহরাব হোসেন সেন্টু, সাং-ভাগজোত কাষ্টমমোড়, ২। মোঃ ওয়াজেদ আলী (৩৮), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ফিলিপনগর, উভয় থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, ভাগজোত মধ্য বাজারে আমার ক্লিনিক আছে।
আমার স্ত্রী শাহানাজ পারভীনের সহিত পারিবারিক বনাবনী না হওয়ার কারনে তাহাকে তালাক প্রদান করি। এই ঘটনাকে ইস্যু করিয়া উক্ত আসামীদ্বয় গত ইং-০৯/০৫/২০২৩ তাং দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় আমার ক্লিনিকে আসিয়া তাহারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়া আমার ক্লিনিকে দেহ ব্যবসা চলে অনৈতিক কাজে ক্লিনিক ব্যবহার হইতেছে এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দেয়। এরপর উক্ত আসামীদ্বয় আমার নিকট এক লক্ষ টাকা দাবী করে।
টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক কাহিনী সৃষ্টি করিয়া পেপার প্রত্রিকায় প্রচার করিয়া এবং ফেসবুকের মাধ্যমে পোষ্ট করিয়া আমার মানহানীকর ঘটনা ঘটাইবে মর্মে প্রকাশ করে। তথাপি আমি টাকা দিতে অস্বীকার যাওয়ায় উক্ত আসামীদ্বয় আমার মজা দেখাইবে মর্মে ভয়ভীতি দেয়।
ইং-১০/০৫/২০২৩ তাং দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে আমি আমার ক্লিনিকে বসে মদ পান সহ নারী ব্যবসা সহ আজেবাজে কথাবার্তা লিখে আমার মানহানীকর ঘটনা ঘটায়।
যাহা এই ধরনের কাজ কখনও করে নাই। উক্ত আসামীদের দাবীকৃত টাকা না দেওয়ার কারনে আমার নামে এই ধরনের মানহানীকর ঘটনা ঘটাইয়াছে। উক্ত ঘটনার সাক্ষী ১। মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪০), পিতা-নিয়ামত আলী মন্ডল, সাং-ভাগজোত নিচপাড়া, ২। মোঃ ফেরদৌস (৪০), পিতা-মৃত মহাসিন আলী, সাং-গোড়েরপাড়া, উভয় থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ আরো অনেকে ঘটনা দেখে ও শোনে।
সে কারনে বিষয়টি আমার পারিবার ও আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া থানায় এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। অতএব, জনাব উল্লেখিত আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহনে মর্জি হয়।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে অভিযোগ কারী বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সাংবাদিকতার নামে মানুষের অসহায়ত্ব কে পুঁজি করে কেহ ব্লাকমেইল করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক, অযথা কেও যেন হয়রানী না হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এ্জাহার হয়েছে, ঘটনা টি তদন্ত চলছে, সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।