খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর চিলমারী মাঠের ২০০ বিঘা পাকা ধান পদ্মায় বিলীন হতে চলেছে।
আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ত্রিপাক্ষিক সংঘর্ষের মাশুল দিচ্ছেন সাধারন কৃষক। ধান গোলায় না উঠলে, মুখে ভাত জুটবেনা তাদের। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পূর্ব আমদানি ঘাট এলাকার জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
শতাধিক বাড়ি জনমানবশূন্য। মাত্র ১৬ ফিট রাস্তার সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ৫/৬ মাস যাবৎ স্থানীয় মন্ডল, খাঁ ও শিকদার বংশের আন্তঃকোন্দল ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বলি হচ্ছেন সাধারণ কৃষকরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, রামকৃষ্ণপুর মৌজার অধীনে চিলমারী মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা পাকা ধান পড়ে আছে।
প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েও ঘরে ফিরতে পারছেন না বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁনসহ শতাধিক নিরীহ কৃষক। স্থানীয়দের দাবী, অতি সত্বর ধান মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
নতুবা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড় “মোখা ” পরবর্তী আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেও ২/৩ পশলা বৃষ্টি হওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বেড়েছে। বৃষ্টি হলেই ধান তলিয়ে যাবে পানির নিচে। যে সকল কৃষক ধান কাটতে পারছেন না- আজিজ খাঁ ৫ বিঘা,রাজ্জাক খাঁ ৩ বিঘা,নুরু খাঁ ৩ বিঘা,কুদ্দুস শেখ ৫ বিঘা,মোশারফ শেখ ৩ বিঘা,রহিম মেম্বার ২ বিঘা,বশির খাঁ ৩ বিঘা,লুৎফর রহমান ২ বিঘা,আবু তালেব খা ৩ বিঘা,আয়নালসহ শতাধিক কৃষক।
চরাঞ্চলে আইন-শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ায় গরু খামারী,দুধ বিক্রেতা,দিন মজুর,মৌসুমি ধান,গম ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী চরম বিপাকে পড়েছেন। পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।