খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া বাজারস্থ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী আয়েশা সিদ্দিকা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বলেন,২০১১ খ্রিঃ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের মাইনুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ইসলামী সরিয়া নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে একটি মোটর সাইকেল ও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মাইনুল ইসলাম।যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি,দেবর ও মাইনুল নিজে মারধরসহ নানাভাবে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালায়। এবং কথায় কথায় তালাক দেব বলে জোরপূর্বক আয়েশাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।বর্তমানে আয়েশাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে আরেকটা বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে মাইনুল।
এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানা প্রশাসন এর কাছে অভিযোগ করে কয়েকবার সালিশ বৈঠক করেও কোন প্রতিকার পাননি।সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে প্রশাসন ও প্রধানন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এই নারী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর নারীর মা আমেনা বেগমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।