খন্দকার জালাল উদ্দীন : কষ্টিয়ার দৌলতপুরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর বদান্যতায় জমির নামজারি বাবদ দালালের নেওয়া টাকা ফেরৎ পেলেন গনজেরা খাতুন নামের (৭০) বছরের এক অসহায় বৃদ্ধা।গনজেরা খাতুন উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি তার জমির নামজারির জন্য ৮ হাজার দু‘শ টাকা নিয়েছিলেন একই এলাকার রওশন নামে এক দালাল।
বুধবার দুপুরে ঐ বৃদ্ধা উপজেলা ভুমি অফিসে শুনানির জন্য আসেন। এবং ভুমি অফিস থেকে জানতে পারেন যে, নামজারির জন্য ১ হাজার ১‘শ ৭০ টাকা লাগে।বিষয়টি এসিল্যান্ড মো. শাহীদুল ইসলাম কে জানালে এসিল্যান্ড সেই দালাল রওশনকে কৌশলে ডেকে আনেন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দালাল বিষয়টি স্বীকার করেন। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে দালাল রওশন জানান, নামজারি আবেদন ও খাজনা পরিশোধ করতে তার ১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বাকী ৭ হাজার ২‘শ টাকা সঙ্গে সঙ্গে ফেরত দেন।
তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চান,এমন কাজ করে মানুষকে আর হয়রানি করবেন না বলে মুচলেকা দিলে এসি ল্যান্ড শাহীদুল ইসলাম তাকে শেষ সুযোগ হিসাবে এবার তাকে ছেড়ে দেয়া হলো বলে জানিয়ে দেন।এরপর সহকারি কমিশনার ভূমি মো: শাহীদুল ইসলাম দালালের ফেরত দেয়া ৭ হাজার ২‘শ টাকা গনজেরা খাতুন কে বুঝিয়ে দেন।
গনজেরা খাতুন জানান, অনেক কষ্ট করে রওশনকে টাকা দিয়েছিলাম, ফেরত পাবো ভাবিনি। এখন টাকা পেয়ে অনেক খুশি লাগছে। তিনি এসিল্যাডের মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেন, তিনি যেন সারাজীবন মানুষের এমন উপকার করতে পারেন। সহকারি কমিশনার ভূমি মো: শাহীদুল ইসলাম জানান, ভুমি সেবা ডিজিটালাইজেশন হবার পর সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি কমলেও এরকম কিছু দালাল চক্রের কারণে এখনও কিছু অসহায় মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এ সকল বিষয়ে দৌলতপুর ভুমি অফিস তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন