খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিলেন ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক আশরাফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় টি ৬৯৩ জন ছাত্র ছাত্রী ও ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম সাদেক আলী তিনি শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দেয় ।
আমাদের ছেলে মেয়ে রিফায়েতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লিখাপড়া করার জন্য রেখেছি। গত ২৮ আগস্ট হঠাৎ আমাদের কোন কিছু না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ার খাতুন তার নিজ স্বার্থ হাঁচিলের জন্য আমাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে ভর দুপুরে ২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে দৌলতপুর থানা ঘেরাও করে আন্দোলন করে সাদেক আলীকে আটকের জন্য ।
আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোন শিক্ষকের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য আন্দোলন করতে নই। তাই আমরা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি বিষয়টা সুস্থ তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে রিফায়েতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী বলেন, আমার দিন প্রতিদিনের ন্যায় ক্লাস করি টিফিনের সময় হলে আমরা বাহিরে বের হই। এমন সময় প্রধান শিক্ষক যে সকল ছাত্ররা মাঠে ফুটবল খেলছিল তাদের আলাদা রুমে ডেকে নিয়ে গোপনে কি বললো।
তার পর বাঁশি দিয়ে সকল ছাত্র ছাত্রীদের নিচে নামতে বললো। নেমে আসলে প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়ে দৌলতপুর অভিমুখে রওনা দিলেন।মাঝ রাস্তায় গিয়ে একজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে আমাদের মিছিল ধরতে বলেন। এবং থানায় নিয়ে যায়। আমরা ভেবে ছিলাম হয়তো কোথাও খেলতে যাচ্ছে হঠাৎ দেখি থানায় যাচ্ছে। আমরা তো কোন ব্যক্তির ব্যক্তি-স্বার্থে ব্যবহার হতে পারিনা তাই বিষয় টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
এ বিষয় প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা বলেন, আমি কোন ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে থানায় যাই নাই । বিদ্যালয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদেই নিজ উদ্যোগে ছাত্র ছাত্রীরা থানায় গিয়ে ছিল। ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকদের না জানিয়ে আপনি নিজ উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে থানা ঘেরাও করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। তবে আমার স্বার্থে নয় আমি যা করেছি তা বিদ্যালয় ও ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে করেছি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরদার আবু সালেক বলেন, ছাত্র ছাত্রী দের থানায় নিয়ে আসার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু জানান নাই। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।