খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা টিপু সুলতান প্রেমিকার ঘরে ঢুকে অবশেষে কান হারাল।
জানাগেছে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীর কামড়ে টিপু সুলতান (৪৫) এর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বোয়ালীয়া গোরস্থানপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। টিপু সুলতান একই এলাকার রায়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে রোববার সন্ধ্যায় টিপু সুলতান স্থানীয় এক গৃহবধূর বাড়ি গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করে। এসময় ওই গৃহবধূর স্বামী বাজার থেকে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি এসে টিপু সুলতানের সঙ্গে তার স্ত্রীকে দেখে টিপুকে আটকে রাখার চেষ্টা করে।
এ সময় টিপু ওই গৃহবধূর স্বামীকে মারপিট করলে গৃহবধূর স্বামী টিপুর কান কামড়ে ধরে এবং ছিঁড়ে নেয়। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল, তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে তারা আপোষ মীমাংসা করতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই গৃহবধূ জানান, টিপু সুলতানের সঙ্গে আমার স্বামীর ভালো সম্পর্ক। সেই সূত্রে ধরে আমাদের বাড়িতে টিপু সুলতানের আসা যাওয়া ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে আমার কোনও খারাপ সম্পর্ক ছিল না।
আজকে আমি আমার শোয়ার ঘরে শুয়ে ছিলাম, চোখে একটু ঘুমের ভাব ছিল, বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে টিপু এসে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরে। এমন সময় আমার স্বামী বাড়িতে এসে দেখে ফেলে। তখন আমার স্বামী উত্তেজিত হয়ে পাড়া-পাড়ির এক পর্যায়ে কামড় দিয়ে টিপুর কান ছিঁড়ে দিয়েছে।
অভিযুক্ত টিপু সুলতানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম, আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসাতে এমন করেছে। এসময় তিনি কামড় দিয়ে তার কান কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।