খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তেকালা এলাকায় ব্যাংগাড়ি মাঠ থেকে এক রাতে কৃষকের সেচ পাম্পের ৭ টি মোটর চুরি হয়েছে জানান এলাকাবাসী।
শনিবার(৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যাংগাড়ি মোড়ের পুলিশ বক্সের ১ শত গজ দুর থেকে একই রাতে ৭ টি মোটর চুরির ঘটনাটি ঘটেছে।
চুরি যাওয়া মোটর মালিকরা হলেন, তেকালা গ্রামের মৃত জফের মন্ডেলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, আহাম্মদের ছেলে লতিফ হোসেন, মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে তোফায়েল মাস্টার, মাসিকুলের ছেলে রকি আলী, সাহাদতের ছেলে ইমাদুল হক, আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিব, ধর্মদহ গ্রামের মৃত তসের ফরাজির ছেলে বজলু ফরাজি ।
এ বিষয়ে তেকালা এলাকার সাধারণ কৃষক ও সেচ পাম্প মালিক আশরাফুল ইসলাম, লতিব হোসেন, আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা প্রতিদিনের ন্যায় মাঠের কাজ শেষে বাড়ি চলে যায় রবিবার সকালে মাঠে এসে দেখি আমাদের সেচ পাম্পের মোটর নাই। আমাদের সেচ পাম্পের কাছেই পুলিশ বক্স সেখানে রাতে পুলিশ টহল থাকে কিন্তু প্রায় বেশ কিছু দিন পুলিশি টহল দেখতে পাই নাই। পুলিশি টহল থাকলে আমাদের পাম্পের মোটর গুলো চুরি হতো না।
এমন কি চুরির সংবাদ দেওয়ার ১০ ঘন্টা পার হলেও ক্যাম্প থেকে কেউ আসেন নাই। তারা অভিযোগ করে বলেন, আই.সি. এবারত হোসেন ও টু আই সি দেলুয়ার হোসেন শুধু মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে পড়ে থাকেন, অন্য বিষয়ে তেমন খোঁজ রাখতেন না। আমরা চাই ঘটনাটির তদন্ত করে আমাদের চুরি যাওয়া মোটর উদ্ধার ও চোরদের আটক করা হোক।
এ বিষয়ে তেকালা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই এবারত হোসেন বলেন,শনিবার রাতে আমাদের টহল ছিল কিন্তু আমাদের উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন ও মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ প্রর্যন্ত দেখা লাগে। তার পরেও কাল অনেক কুয়াশা ছিল তাই আমরা দেখতে পাই নাই। প্রাগপুর ইউনিয়ন ও মথুরাপুর ইউনিয়ন তো আলাদা বিট সেখানে আলাদা অফিসার আছে তাও আপনাদের দেখা লাগে ? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নাই তিনি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে ক্যাম্প পুলিশ আমাকে কোন কিছু জানায় নি। তবে বিষয়টি আমি অবগত আছি। ক্যাম্প ইনচার্জের দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযোগ পেলে চুরি যাওয়া মালামাল সহ আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।