খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের তেকালা গ্রামে প্রবাসী সানের আলীর ছেলে শাহিন আলী (১১) গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে পাখি ভ্যান সহ বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বাড়ি না ফিরলে দৌলতপুর থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার লোক, জিডি নং ৬৯৪।
নিখোঁজের ৬ দিন পর( ১৭ ডিসেম্বর) সকাল অনুমানিক ১১ টার দিকে আদাবাড়ীয়া মাঠের তোফান মোল্লার মেহগনির বাগানে একটি শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ কৃষকেরা। খবর পেয়ে নিখোঁজ শাহিনের পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থানে এসে লাশ শাহিনের বলে নিশ্চিত করেন।
এদিকে জিডি তদন্তকারী অফিসার এস.আই. এবারতের তৎপরতার অভাবে শাহিন জীবিত উদ্ধার হয় নাই বলে অভিযোগ করছেন সচেতন মানুষ, তারা জানায় মাদক ব্যবসায়ী, চোর, সন্ত্রাসীদের সাথে এস.আই. এবারতের চরম খাতির, টাকা ছাড়া সে অন্য কিছু বোঝে না, এলাকাবাসী তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেছে।
শিশু শাহিন আলীর দাদা সিরাজুল ইসলাম ও নানা নূর ইসলাম বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর শাহিন আলী নিখোঁজ হয়, পরে থানায় জিডি করি এবং বিভিন্ন ভাবে খোঁজা খুঁজি করি। আজ শুনি মাঠের মাঝে লাশ পড়ে আছে। এসে দেখে নিশ্চিত হই এটা আমাদের শাহিন। শাহিন আলীকে যারা হত্যা করেছে তাদের আটক করে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ বলেন, জিডি হওয়ার পর থেকে আমরা শাহিন কে উদ্ধারের চেষ্টা করে আসছি। আজ তার লাশ পাওয়া গেছে। আমাদের ধারনা তাকে পাখি ভ্যান গাড়িটা নেওয়ার জন্য হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।