কুমারখালীপ্রতিনিধি: একসময় রাজা-বাদশাহরা হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতেন। কালের বিবর্তনে তা এখন অতীত। তবে অনেকে শখের বশবর্তী হয়ে হাতির পিঠে চড়ে আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে বা সময়ে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করাটা অবিশ্বাস্য ও কৌতূহলের।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী শহরে রাজার পোশাক পরে এক যুবক হাতির পিঠে চড়ে যাচ্ছেন বিয়ে করতে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে কুমারখালী কুন্ডুপাড়ারা নবগ্রহ মন্দিরের সামনে এমন দৃশ্য ও বিয়ে দেখে কৌতূহল হলে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন অনেকে।
হাতি ভাড়া করা হয়েছিল ৪০ হাজার টাকায়। বিয়েতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। এতে হৈ হুল্লোড় ও আনন্দ উল্লাসে অংশ নেয় সকলে।
তপন অধিকারীর ছেলে বর ধ্রুব অধিকারী। বাড়ি শহরের কুন্ডুপাড়া এলাকায়। রাজকীয় সাজে ও সুসজ্জিত হাতি আর বরকে দেখার জন্য রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেন কৌতূলী মানুষ। কুমারখালী শহরের এলঙ্গিপাড়ার অচিন্ত পালের মেয়ে অন্তরা পালের সঙ্গে ধ্রুব অধিকারীর বিয়ে হয়।
বরের কাকা জানান, ধ্রুব’র দাদু চেয়েছিলেন হাতির পিঠে বর সাজিয়ে বিয়ে করবে নাতি। সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই ছেলেকে রাজকীয় সাজে সজ্জিত করে হাতির পিঠে চড়ে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়।
বর ধ্রুব অধিকারী জানান, দাদু’র ইচ্ছে পূরণ করতে রাজকীয় সাজে হাতিতে চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছি। এতে আমার পরিবার ও এলাকাবাসী চরম আনন্দ উপভোগ করেছি।
বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বর ও কনে দু’জন হাতির পিঠে চড়ে করেছেন দাদুর ইচ্ছা পূরণ। আর সে ইচ্ছার সাক্ষী হলেন এলাকার শত সহস্র মানুষ।