খন্দকার জালাল উদ্দীন : : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাহফুজুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী সালেহা আক্তার রিপা (৩৮) নামে ২ জন গুরুত্বর আহত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চামনাই আল্লারদর্গাবাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার দীর্ঘ ১০ দিন অতি বাহিত হলে ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানার পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত মাহফুজুর রহমানের এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দীঘর্ দিন ধরে একই এলাকার আমার চাচাতো ভাই ও ভাবীদের সাথে বসত বাড়ীর জমি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আসামী ১। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৭) ২। মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫০) ৩। মোঃ লাবলু হোসেন (৬০) সর্ব পিতা- মৃত মোসারোফ হোসেন, ৪। মোছাঃ সেলিনা আক্তার (৫২) স্বামী- মোঃ লাবলু হোসেন, ৫। মোছাঃ আফরোজা খাতুন (৪০), স্বামী- মোঃ সাইফুল ইসলাম, ৬। মোছাঃ নার্গিস (৪৫) স্বামী- মোঃ শফিকুল ইসলাম,
বিভিন্ন সময় আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং আমাকে খুন জখম করার সুযোগ খুজিতে থাকে। এঘটনার জের ধরে গত ১৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে অর্তকিতভাবে উপরোল্লেখিত আসামীগন পরস্পর যোগসাজস করিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে দেশীয় তৈরী ধারালো হাসুয়া, লোহার রড লাঠি বাটাম,
ইট নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে আমার বসতবাড়ীর ভিতর আঙ্গিনায় অনধিকার প্রবেশ করে ৩ নং আসামী মোঃ লাবলু হোসেন এর হুকুমে, সকল আসামীরা একযোগে লোহাররড, লাঠি ও ইট দিয়া প্রতিপক্ষ মাহফুজুর রহমানের বুকে,
পিঠে, ঘাড়ে মাজায়, হাতেপায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া ফোলা কালশিরা জখম করে। আমার অবস্থা বেগতিক দেখে আমার স্ত্রী সালেহা আক্তার রিপা (৩৮) আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করিলে ১ নং আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া আমার স্ত্রী মাথার ডানপাশে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে।
২ নয় আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম কাঠের বাটাম দিয়া আমার স্ত্রীর মাথার বাম পাশে আঘাত করিয়া ফোলা জখমকরে। ৩ নং আসামী মোঃ লাবলু হোসেন আমার স্ত্রীর পরিধানে থাকা কামিজ ছিড়ে বেআব্রু করিয়া শ্লিলতাহানী ঘটায়। ৪ নং আসামী সেলিনা খাতুন আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইনমূল্য ৪২,০০০/- (বিয়াল্লিশহাজার) টাকা নিয়ে নেয়। সকল আসামীরা লাঠি বাটাম দিয়া আমার বাড়ীর বাড়ী ঘরের টিনের চাল ও ঘরের জিনিসপত্র বাড়াইয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ২০,০০০/- (বিশহাজার) টাকার ক্ষতিসাধনকরে। আমার ও আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে সাক্ষী ১। মোঃ সেলিম শেখ (৬০) পিতা- মৃত শওকতআলী শেখ, সাং-চামনাই,
২। মোঃ শাকিব (৩৯) পিতা- মোঃ হবিবুর লস্কর, সাং- সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া, ৩। মোঃ মোহন খন্দকার (৩০) পিতা- মৃত ভোলা খন্দকার, সাং-হলুদবাড়ীয়া, সর্ব থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া ও আশ পাশের আরো লোকজন আগাইয়া আসিলে এসময় সকল আসামীরা খুন জখমের হুমকি দিয়া চলে যায়।
ঘটনার পর সাক্ষীগন সহ আমার আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগীতায় আমার আহত স্ত্রীকে ঘটনাস্থল হইতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করিয়া সাথে সাথে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের জরুরী বিভাগে আনিয়া চিকিৎসা করায়। পরে আমার স্ত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। এঘটনার পর ২১ এপ্রিল ৬ জন কে আসামী করে দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করলে ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে আমার মামলা টি পুলিশ রেকর্ড করেনী।
এবিয়য়ে বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি মামলা হওয়ার মতো ঘঁটনা হয়, আহত হয়ে রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে তবে অবশ্যই মামলা হবে। আর যদি মামলা হওয়ার মত ঘটনা না হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকে তাহলে তো মামলা হবে না।