খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দখলে-দুষনে সরু খাল প্রবাহমান পদ্মা নদীর শাখা দৌলতপুরের হিসনা নদী। পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সাধারণ টিউবয়েলে পানি না উঠায়, এলাকায় পানির চবম সংকট দেখা দিয়েছে।
নদীরপাড়ে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা ও বসত বাড়িগুলো দখল করে রেখেছে এই হিসনা নদীকে। সেই সাথে কলকারখানা ও বসতবাড়ির বৈর্জ্য নদীতে ফেলে ভাগাড়ে পরিনত করেছে। দুষিত কালোপানি ও ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট সাধারন মানুষ। তবে কর্তৃপক্ষ দখল উচ্ছেদ করে খননের আশ^াস দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না দীর্ঘ এক দশক যাবৎ।
এক সময়ের প্রবাহমান নদী এখন থমকে গেছে দখলদারের কারনে। নদীর নাব্যতা ফিরে পেতে দখল ও দুষন মুক্ত করে খনণের দাবি এলাকাবাসীর। পদ্মার সাথে হিসনা নদীর সংযোগ থাকলে দূর হবে পানির সংকট।
এই হিসনা নদী এক সময় ছিলো যৌবন,এর বুকে চলতে বড় বড় জাহাজ। কাল ক্রমে এই হিসনা এখন জবর দখলে। দখল মুক্ত,দূষন মুক্ত ও খনন করলে হিসনার পুনঃজিবন ফিরে পাবে। কলকারখানা, নদী তীরের বসত বাড়ির ও বাজারের যতো ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে বাতাসে, চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নদীটা দখলের কারণে সরু খালে পরিনত হয়ে গেছে, ম্যাপ দেখে পরিমাপ ও দখলমুক্ত করে দুষীত পানি ও ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করে পুনরায় খনন করে পুনরায় নদীর নাব্যতা ফিরে আনার দাবি এলাকাবাসির।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান প্রতিবেদক কে জানান, হিসনা নদী খনন কাজের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, প্রকল্প অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে। দখল উচ্ছেদ করে মোট ৪২ কি:মি খনন করা হবে তাতে হিসনা নদী পুনঃজিবন ফিরে পাবে।
দখল ও দুষন মুক্ত করে খনন হলে আবার পুর্বের ন্যায় হিসনা নদী তার যৌবন ফিরে পাক সেটাই চাই এলাকাবাসী।