খন্দকার জালাল উদ্দীন :: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৫ নং রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়নের ইসলামপুর বিশ্ববাধ এলাকায় কৃষক স্বপন কবিরাজের বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় কৃষক স্বপন কবিরাজ নিজে বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। স্বপন কবিরাজ বিশ্ববাধ এলাকার পলান কবিরাজের ছেলে সে কৃষিকাজ ও ছাগল গরু পালনের মাধ্যমে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা থাকার কারণে একই এলাকার কুরবান আলীর ছেলে রবিউল, ফকির মন্ডলের ছেলে কালম ও ইসমাইল হোসেন নামে জৈনক ব্যক্তিরা ২০/০৫/২০২৪ তারিখ রাত গভীর হলে একে অপরে যোগসাজস করিয়া কৃষক স্বপন কবিরাজের একটি ঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগাইয়া দেয়। এবং এই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখতে পাই ঐ এলাকার মজিবর বিশ্বাসের ছেলে বাবু।
আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানতে চাইলে বাবু বলেন, ঐদিন রাত্র আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার মাদাপুর থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে স্বপনের বাড়ির সামনে আমি ও স্বপন পৌঁছাইয়া দেখতে পাই রবিউল,কালাম,ও ইসমাইল মিলে স্বপনের বাড়িতে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগাইয়া দিচ্ছে। এবং তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত স্থান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই।
পরে আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন আগাইয়া আসিয়া ব্যাপক পরিমাণ পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কৃষক স্বপন কবিরাজ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে আমাদের পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে, এর আগেও তারা আমার বাবাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো ফালা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত করেছিল।
এবং আমার বাড়িতে ইতিপূর্বেও তারা আগুন লাগিয়ে গবাদি পশু গরু পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্যই মূলত রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়ে আমাদেরকে চিরতরে মেরে ফেলা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য সফল হতে না পেরে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমাদের একটাই দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন ইসমাইল হোসেনের সাথে প্রতিবেদক কথা বললে তিনি জানান, এজাহারকারী ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজন যেকোনো বিষয়ে বার বারই আমাদের দোষ দিয়ে থাকে। স্বপন কবিরাজের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় আমরা কোন অবস্থাতেই জড়িত নই তারা নিজেরাই ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নামে মামলা করার জন্য নানা ধরনের নাটক করছে। এদিকে এজাহারের বিষয়ে জানতে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল কে তার মুঠোফোনে কল দিলে কল টি রিসিভ করেনি।