দৌলতপুর প্রতিনিধি :কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। এই উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন ভারত সীমান্ত লাগোয়া। আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন, প্রাগপুর ইউনিয়ন, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও চিলমারী ইউনিয়ন।
আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ, তেকালা ও গড়ুরা গ্রামে প্রতিনিয়ত বসে মাদকের হাট এমন অভিযোগ তুলেছে সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে নাম পরিচয় গোপন রাখা শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, সীমন্ত পার হয়ে আসছে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা। আগে প্রতিদিন পুলিশের অভিযান থাকতো মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়ে মাঠের ঝোপঝাড়ে বসে থাকতো, বর্তমানে পুলিশের উপস্থিতি নাই আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাদক স্পষ্ট গুলোতে। তাই মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে খোলামেলা ভাবে ধর্মদহ, তেকালা, গরুড়া বাজারে ঘোরাফেরা করছে এবং ব্যবসা পরিচালন করছে।
এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছে তেকালা ক্যাম্প পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সাধারণ মানুষ দাবি করেন, ধর্মদহ, তেকালা, গরুড়া এলাকায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ডি বি, দৌলতপুর থানা পুলিশ, র্যাব কুষ্টিয়ার মাদক উদ্ধার থাকলেও তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের কোন মাদক উদ্ধার নাই এপ্রিল ও মে মাসে যা বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে এমন ঘটনা প্রথম। বিগত সময়ে দৌলতপুর থানার মাদক উদ্ধার মামলার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল তেকালা ক্যাম পুলিশের।
তেকালা ক্যাম্প পুলিশের মাদক উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা বলেন, আমরা বিগত দিন তেকালা ক্যাম্পের যে অফিসার থাকতো তাদের তথ্য দিলে তারা মাদক উদ্ধার করতো আমাদের তথ্য গোপন থাকতো, কিন্তু বর্তমান আই সি এস আই দর্জি আবু জাফরকে তথ্য দিলে মাদক উদ্ধার তো দুরের কথা সাথে সাথে মাদক ব্যবসায়ীরা জেনে যায় যে তার মাদকের তথ্য আমরা দিয়েছি, তাই আমরা আর কোন তথ্য দেই না।
তেকালা ক্যাম্প এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের মাদক উদ্ধার থাকলেও তেকালা ক্যাম্প পুলিশের মাদক উদ্ধার নাই কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তেকালা ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই দর্জি আবু জাফর বলেন আমার কাছে তেমন তথ্য নাই তাই মাদক উদ্ধার ও নাই। আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে মাদক উদ্ধার হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রাকিব হাসান বলেন, থানা পুলিশের মাদক উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।