খন্দকার জালাল উদ্দিন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ কাজপত্র ও ফাইল চুরি হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে দৌলতপুর কলেজের হিসাবরক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের কক্ষের আলমারী থেকে অফিসিয়াল এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজপত্র ও ফাইল চুরি হয়।
মঙ্গলবার সকালে কলেজে গিয়ে চুরির ঘটনাটি জানতে পারেন দৌলতপুর কলেজের হিসাবরক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম। এরপর চুরির ঘটনা দৌলতপুর কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালামকে জানালে তিনি তৎক্ষনাত দৌলতপুর কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জরুরী সভা করেন। সভায় চুরি যাওয়া কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এরআগে গত ৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় দৌলতপুর কলেজে একদল দূবৃর্ত্ত হামলা চালিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামান খান সুমন ও উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালামের অফিস কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করে। এরা দু’জনই নিয়ম নীতি না মেনে আওয়ামী লীগ দলীয় কোটায় নিয়োগ নিয়েছিলেন।
একইদিন রাতে দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী রাজু আহমেদ কলেজে গিয়ে ভাঙচুরের দৃশ্য ধারণ ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের গোপন ফাইলপত্র বস্তা বোঝাই করে নিজ হেফাজতে নিয়ে যায় বলে এ বিষয়টিও জরুরী সভায় উপস্থিত সকলে অবগত হন। এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে দেশের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামান খান সুমন আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে দৌলতপুর কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালামের উপস্থিতিতে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।