খন্দকার জালাল উদ্দিন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সোনাইকুন্ডি গ্রামের মসলেম উদ্দিন এর একমাত্র ছেলে দূর্বৃত্তদের হামলায় আহত নীরব হোসেন রাব্বি (১৯) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মারা গেছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নীরব হোসেন রাব্বি গত ৩০ আগস্ট তার বাড়ির নিকটে চাঁদ আলির বাড়ীর কাছে বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করতেছিল, এ সময় সে তার বন্ধু নাসিম (১৯) পিতা নাসির উদ্দিন প্রামানিক ও শুভ (১৮) পিতা ইউসুফ আলী কে নিয়ে সোনাইকুন্ডি অভিমুখে মটরসাইকেলে চড়ে কোমল পানীয় সেভেন আপ আনার উদ্দেশ্যে সোনাইকুন্ডি বাজারের দিকে যায়। এ সময় এজাহারভুক্ত আসামি শোয়ায়েব ও মাহি পিতা মিজানুর হাজি, হৃদয়. তানহা, বিদু সহ অপ্সাত ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
রাব্বী গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকা থেকে কিছুদূর যেতে সামনে এসে সাজিনা গাছের গুঁড়ি দেয়া থাকলে সেখানে থেমে যায়। এ সময় আসামিরা রাব্বীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে, সে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে যায়। মটরসাইকেলটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়, গাড়ির অপর দু’জন আহত হয়ে পালিয়ে যায়। রাব্বী কে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রিফার্ড করে। রাজশাহী মেডিকেলে ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রাব্বী মারা যায়। লাশ ময়না তদন্ত করে ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিজ গ্রামে নীরব হোসেন রাব্বির দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে রাব্বীর চাচা মামলার বাদী শফিউল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শোয়ায়েব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাব্বীকে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য রড-হাতুরী দিয়ে মারপিট করায় সে মারা যায়। আমরা এই হত্যার সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করি।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব জানান ওই দিনই মামলা রেকর্ড হয়, মামলা নম্বর ৯/২০২৪, আসামিদের ধরার জন্য জোর তৎপরতা চলছে। তদন্ত করে বিষয়টি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।