1. raselahamed29@gmail.com : admin :
  2. uddinjalal030@gmail.com : jalal030 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে পদ্মাপাড়ের মাছের হাটে বছরে আয় শতকোটি টাকা

Khandaker Jalal uddin
  • Update Time : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৮ Time View

খন্দকার জালাল উদ্দীন :: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর খরস্রোতা পদ্মার তীরবর্তী একটি অঞ্চল।দৌলতপুরের ফিলিপনগর, বৈরাগীরচর ও রামকৃষ্ণপুর—এ তিনটি ইউনিয়ন একেবারে নদীঘেঁষা। এখানকার অন্তত ৯০০ জেলের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হলো মাছ শিকার।
এ ছাড়া বাড়তি আয়ের আশায় নদীপাড়ের লোকজন কমবেশি মাছ ধরেন। প্রতিদিন এসব মাছ তাঁরা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন পদ্মা তীরবর্তী অপরিকল্পিত ঘাটসহ এলাকার আশপাশের বাজার গুলোতে। আর নদীর এসব টাটকা মাছের বেচাকেনা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, যার ক্রেতা হতে নদীর ঘাটের বাজারে আসেন স্থানীয়সহ আশপাশের জেলার মানুষ ও পাইকাররা। ঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন মাছ বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা।

এই হিসাবে বছরে মাছ বিক্রি হয় শতকোটি টাকার বেশি।এসব হাটে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে চিংড়ি, পিউলি, চ্যালা, ঘাউরা, বাঁশপাতা, বাইম, বেলে, ট্যাংরাসহ নানা পদের মাছ। এগুলো আকারভেদে ১৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা তীরবর্তী হওয়া সত্ত্বেও বৃহত্তর এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। যার কারণে জেলেরা তাঁদের মাছের সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

একইভাবে দ্রুত মাছ বিক্রিতেও পড়ছেন বিড়ম্বনায়। তাই এলাকার জেলেরা দাবি তুলেছেন, দ্রুত এখানে সরকারি উদ্যোগে একটি মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার। এটা করা গেলে শুধু জেলে পরিবারের সমৃদ্ধিই বয়ে আনবে না, স্থানীয় মৎস্য খাতের অর্থনীতির স্ফীতি ঘটবে। স্থানীয় জেলে সিদ্দিক ও জামাল জানান, প্রতিদিন পদ্মা নদী থেকে তাঁরা যে পরিমাণ মাছ শিকার করেন, তা বিক্রির জন্য তীরবর্তী ঘাট ও স্থানীয় বাজারের হাটগুলোতেই নিয়ে আসেন।

কিছু পরিমাণ পাঠানো হয় কুষ্টিয়া শহরের আড়তেও। এতে প্রতিদিন যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে তাঁদের সংসার। আরেক জেলে দলের নাজমুল ও মিন্টু বলেন, আকার ও মাছের ধরনের ওপর নির্ভর করে মাছের দাম নির্ধারণ হয়। আবার ক্রেতার থেকে আমদানি বেশি হলে দাম কমে এসব মাছের। কথা হয় নদীর পাড়ে মাছ কিনতে আশা তুষার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকালে ঘাটে এসেছি নদীর টাটকা মাছ কিনতে। যদিও এখানে দাম বেশি।

তবে একদম ফ্রেশ এসব মাছের স্বাদ অনেক।’এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ বলেন, প্রতি মৌসুমের মে মাসের শেষ সময় থেকে ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। প্রতিদিন কী পরিমাণ মাছ শিকার বা বিক্রি হয়, এর সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও গড়ে অন্তত দেড় হাজার কেজি মাছ বিক্রি হয়।

যার থেকে বছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় হওয়ার কথা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা একাধিকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছি, তবে বাস্তবায়ন হয়নি। এখানে একটি মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হলে এই খাতের আরও উন্নয়ন সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 biplobidiganta.com

Design & Developed By : Anamul Rasel