দৌলতপুর, প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গরুর মাংস খেয়ে তড়কা রোগে আক্রান্ত ৫ দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) গবাদিপশুর একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। গবাদী পশু পালনে হুমকি স্বরূপ যে কয়টি রোগ রয়েছে তার মধ্যে অ্যানথ্রাক্স অন্যতম।
গবাদিপশু থেকে এ রোগ মানুষের মাঝে ছড়ায়। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে অন্তত ৫ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ফজলু,সাত্তার, আশরাফুলের ৩ টি গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
তবে আঃরহিম এর ছেলে আঃ জাব্বার, হেলু-র ছেলে লালু,হেবু-র ছেলে জনি ও খলিলের ছেলে জলিল এদের অসুস্থ ৪ টি গরু ৮-১০ দিন আগে জবাই করে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে।
সেই মাংস খেয়ে গ্রামের সজিব (২৫) পিতাঃ ফকির মন্ডল, নমাজ (২৮) পিতাঃ সিরাজুল ইসলাম, রমজান আলী (৪৮) পিতাঃ নয়ন আলী, সুফিয়া খাতুন (৪৫) স্বামিঃ মতিয়ার রহমান এবং সুজিনা খাতুর (৪০) স্বামিঃ মনিরুল ইসলাম আক্রান্ত হন। আক্রান্ত ব্যাক্তিরা বর্তমানে গ্রামেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে আক্রান্তরা জানান।।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কপ্লে¬ক্সের টি,এইচ,ও ডাঃ তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, প্রাথমিক লক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কয়েকজনের অ্যানথ্রাক্স নির্ণয় করা হয়েছে।
আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, অসুস্থ্য গরুর মাংশ খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর আমার জানা নেই, তবে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বরদের বিষয়টি জানিয়ে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মালেক বলেন, প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কিছু গরু অ্যানথ্রাক্স এ আক্রান্ত হয়েছে শুনে গত সপ্তাহ থেকে ওই এলাকার পশুগুলোকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে।
আক্রান্ত পশুর স্যাম্পল ল্যাবটেষ্টের জন্য ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। এ রোগ যাতে বিস্তার না ঘটে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঐ এলাকার আক্রান্ত পশুথেকে মানুষ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তদন্ত কওে ব্যাস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।