1. raselahamed29@gmail.com : admin :
  2. uddinjalal030@gmail.com : jalal030 :
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৌলতপুরে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল ও ফেনসিডিল উদ্ধার আটক-২ দৌলতপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে দোকানদারের মৃত্যু দৌলতপুরে অস্ত্রের মুখে একমি’র বিক্রয় প্রতিনিধির মোটরসাইকেল ও টাকা ছিনতাই সাজানো নাটক দৌলতপুর কিন্ডারগার্টেন সমিতির সাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মতবিনিময় দৌলতপুরে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ॥ অস্ত্রের মুখে বিক্রয় প্রতিনিধির মোটরসাইকেল ও টাকা ছিনতাই দেশের ১০টি জেলা ও মহানগরে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি দৌলতপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু দৌলতপুরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত দৌলতপুর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল দেখার কেও নেই দৌলতপুরে পেট্রল পাম্পের জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজে অগ্নিদগ্ধ আলী হোসেন মারা গেছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে প্রতিহত করতে দেশবাসীর সহয়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • Update Time : শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬৫৫ Time View

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলে এর সংক্রমণ প্রতিহত করায় সরকারকে সহয়তার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো এবং অকারণে বাইরে বের হবার মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি সকলকে এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস শুরুর আগে যেমন হয়েছিল ঠিক তেমনভাবেই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আমরা করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে, এটি করার জন্য সাধারণ মানুষের সহায়তা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে জাতীয় সংসদে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছি বলে বোধহয় মানুষের মাঝে একটি বিশ্বাস জেগে গেছে। যার জন্য সকলেই ভাবছিল কিছু হয়তো হবে না। আমি বারবার বলেছিলাম ভ্যাকসিন নিলেও সাবধানে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা অফিস-আদালতে বলে দিয়েছি সীমিত লোক নিয়ে কাজ করতে হবে। বেশি যেন মেশামিশি না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অনেকেই সিমট্রম ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত থাকতে পারেন। তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু যার সঙ্গে কথা বলছেন বা মিশছেন তার কিন্তু হয়ে যাচ্ছে। এটাও মাথায় রাখতে হবে।
নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। সবার মনে হচ্ছিল সবকিছু যেন ঠিক হয়ে গেছে। আমরা একেবারে কমিয়েও এনেছিলাম। সবকিছু নিয়ন্ত্রণেও এনেছিলাম। অর্থনৈতিক কাজগুলোও চলছিল। কিন্তু আবার সারাবিশ্বব্যাপী এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবারের করোনাভাইরাসটি হঠাৎ করে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনটি বাংলাদেশেও। আমাদের ২৯, ৩০ এবং ৩১ মার্চ-এমন দ্রুত বেড়ে গেছে যেটা চিন্তাও করা যায় না।
মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কিন্তু বন্ধ হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি যতগুলো বড় বড় বিয়ের অনুষ্ঠান, যারা এই বিয়েবাড়িতে গেছেন ফিরে এসে তাদের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে চলে গেছেন, সেখান থেকে যারা এসেছে তাদের বেশি করে ধরেছে। এই দাওয়াত, খাওয়া-টাওয়া, দোকান-পাটে ঘোরাঘুরি যেন অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল।
করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, প্রথমে করোনাভাইরাস দেখা দেয়ার পর যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। আমাদের সেইভাবে আবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি নিয়ন্ত্রণে আনতে। সেই ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা দরকার। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকলে এভাবে আমাদের মানুষগুলোকে হারাতে হতো না।
সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব মাস্ক পরে থাকবেন। কারণ, করোনাভাইরাস নাক থেকে গিয়ে সাইনাসে আক্রমণ করে। সেই ক্ষেত্রে সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে নাকে ভাপ নেয়া। ভাপ নেয়াটা খুবই কাজে লাগে। যখনই কেউ একটু বেশি মানুষের সাথে মিশবেন-বা দোকানপাট অফিসে যাবেন। ঘরে ফিরে একটু যদি গরম পানির ভাপ নেন। এটা খুব কঠিন কাজ নয়। যেকোনো একটি পাত্রে ভাপ তোলা গরম পানি। যেটাতে ভাপ আসে-ওই গরম পানির ওপর মুখটা রেখে- দরকার হলে একটি কাপড় দিয়ে মাথাটা ঢেকে গরম পানির ভাপটা নিঃশ্বাসে নিলে নাকের ভেতরে সাইনাস পর্যন্ত চলে যায়।

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু হয় সকাল ১১টায়। প্রয়াত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পত্রিকার সম্পাদক, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিক কর্মীসহ বিশিষ্টজনের মৃত্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় সংসদে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি এটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক। মাহমুদ উস সামাদ ভালো সংগঠক ছিলেন। তিনি শিশুদের সচেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত করার কাজ করে গেছেন। যখনই শুনলাম তিনি করোনায় আক্রান্ত, ব্যবস্থা নিতে না নিতেই তিনি চলে গেলেন। অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে সিলেটের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামকে স্মরণ করে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যখন থেকে গঠিত হয় তখন থেকেই তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন আমলা হলেও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনকন্ঠ সম্পাদক সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ২০০১ সালে পাকবাহিনীর স্টাইলে বিএনপি-জামায়াতের দেশের দক্ষিণ জনপদের মানুষ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র পত্রিকায় পাতায় তুলে ধরতে তার সাহসি ভূমিকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 biplobidiganta.com

Design & Developed By : Anamul Rasel