খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আইন শৃংখলার চরম অবনতি দ্রুত পদক্ষেপ প্রহণের দাবী এলাকাবাসীর, ৭ খুনের পর মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট।
রেফায়েতপুর ইউনিয়নের ভেড়ামারা ঈদগাহ পাড়া গ্রামের মৃত আজমত আলীর স্ত্রী মাজেদা খাতুনের বাড়িঘর মধ্যযুগীয় কায়দায় ভাঙচুর করেছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী, মতিউর রহমান, সালাম, রহমান সহ আর অনেকে বলেন, মাজেদার একটি মাত্র সন্তান। স্বামীর মৃত্যু পরে অনেক কষ্ট করে মানুষ করে তাকে বিদেশে পাঠিয়েছে। বাড়িতে মাজেদা ও তার ছেলের বউ থাকে। প্রতিদিনের মত তারা রবিবার বিকালে রান্না করছিল অনুমানিক ৪ টার দিকে ভেড়ামারা গাইন পাড়ার ফুরকানের ছেলে খেজমত, খেজমতের ছেলে রতন, সাহাজুলের ছেলে মহাসিন,সাজ্জাদের ছেলে গুলফান ছাড়াও অনেকে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে চলে যায়।
এলাকাবাসী বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপরে গরম পানি ছুড়ে মারা হয়। এই ধরনের ভাঙচুর বর্তমান সময়ে লজ্জা জনক। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে, অথবা প্রসাশনের সহযোগিতায় এ ধরনের ভাঙচুর লুটপাট হচ্ছে বলে ধারণা সচেতন মহলের। জেলা প্রশাসন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে আশা এলাকাবাসীর।
বাড়ীর মালিক মাজেদা বলেন, আমার একটি ছেলে ছাড়া কেউ নাই। আমার ছেলে প্রবাসে থাকার সুযোগে তারা আমাকে একা পেয়ে মারধর করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে রতন বলেন, মাজদা’র জমিটা আমাদের এক সময় দখলে ছিল। তারা গোপনে আমার এক চাচার কাছে থেকে কিনে নিলে আমরা জিজ্ঞেসা করতে গেলে তারা গালাগালি করে, তাই ভেঙ্গেছি। তবে এটা আমাদের ভুল হয়েছে।
এ বিষয় দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।