দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। এই উপজেলার প্রায় ৪৭ কিলোমিটার ভারত সীমান্ত লাগোয়া। প্রতি রাতেই সীমান্ত পার হয়ে চোরাই পথে আসছে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র।
মাদক ও অস্ত্র বহন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে সীমান্ত এলাকার যুব সমাজ। চিন্তিত অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে সীমান্তে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার বিশাল এক বাহিনী তৈরির অভিযোগ উঠেছে বিলগাথুয়া গ্রামের তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে আকিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সীমান্ত এলাকার বিলগাথুয়া, প্রাগপুর, ধর্মদহ, জামালপুর গ্রামের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দাবি আকিদুলের নেতৃত্বেই ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল চোরাই পথে প্রতিরাতে ভারত থেকে বাংলাদেশের ডুকাছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক ও অস্ত্র। আর আকিদুলের মাদক ব্যবসা সম্পর্কে মুখ খুললেই নেমে আসে মামলা হামলা সহ নানা অত্যাচার।
ভুক্তভোগী বিলগাথুয়া গ্রামের কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস, সেন্টু আলী, লালন হোসেন বলেন, আমরা এলাকার সচেতন মানুষ আমরা আকিদুলের মাদক ব্যবসা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ও যুবসমাজকে বাঁচাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়াতে আমাদের পড়তে হয়েছে মার্ডার সহ একাধিক মালায়। আমরা চরম বিপদে আছি এখন, আমাদের সন্তানদের মাদক থেকে বাঁচাতে এই চোরাকারবারি বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।
এ বিষয়ে, ১ নং প্রাগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল সরকার, ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম বলেন, আমাদের এলাকা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে মাদকের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। আমরা নির্বাচিত হওয়ার পরে অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে ব্যবসা ছেড়ে ভালো পথে আনতে পেরেছি। কিন্তু বিলগাথুয়া গ্রামের তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে আকিদুল কে আমরা কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিনা।
তাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তার পরেও তার মাদক ব্যবসা বন্ধ হয় নাই বরং সে আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আমাদের ইউনিয়নকে বাঁচাতে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আকিদুল কে আইনের আওতায় দেখতে চাই।
সকল অভিযোগের বিষয়ে আকিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলবেনা বলে জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ বলেন, বিজিবি অবস্থান সকল সময় চোরাচালানের বিরুদ্ধে এবং সকল চোরাচালানকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ বলেন, আমরা আকিদুল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর কথা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। মাদক ব্যবসায়ী যে ব্যক্তি হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।