দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর লক্ষীখোলা মোল্লা পাড়া গ্রামে জমি-জমার বিরোধের জের ধরে বাদী জালেমা খাতুনের পরিবারকে হত্যার হুমকি, গাছ কর্তন জোরপূর্ব নিজ দখলে নেয়ার জন্যে জমি ঘেরাও করেছে প্রতিপক্ষ।
অসহায় পরিবারটি আদালতের রায় তাদের পক্ষে থাকলেও গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে মাস ব্যাপি মারপিট গালি গালাজ সহ নানা ভাবে অত্যাচার করে চলেছে প্রতিপক্ষ প্রভাব শালীরা। মামলা গ্রহণ করেনি থানা, দৌলতপুর থানায় ৩টি জিডি করেও প্রসাশনের কাছে কোন প্রতিকার পাইনি বলে জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।
বাদী জালেমা খাতুন জানায় ১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় আসামীরা জোর পূর্বক জমি দখল করে। বাহার আালি, আতাহার আলী, কল্পনা রানী, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মেরী খাতুন,চাহার আলি, ছানোয়ার সহ ১০/১২জন দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার দিয়ে জমিতে বেড়া দেয়। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। বাদী জালেমা থানায় মামলা গ্রহণ না করলে, গত অক্টোবর মাসে বিভিন্ন তারিখে তিনটি জিডি করলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।
জমির মালিক জালেমা খাতুন জানান আসামিরা ১.১০.২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ৬টার সময় জমি দখল করার জন্যে, তার দিয়ে ঘিরতে থাকে এবং অকাট্য ভাষা গালিগালাজ করে ও ধারালো হাসিয়া দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দেয়। মারতে যায় এ ব্যাপারে জালিমা খাতুন ওই দিন দৌলতপুর থানায় একটি জিডি করে যার নম্বর ১৭।
৭-১০ ২০২২ তারিখ বাহার, মোতাহার উভয় পিতা আব্দুল বারী, রাকিবুল পিতা গিয়াস উদ্দিন সর্ব সাং লক্ষী খোলা মোল্লাপাড়া, তারা বাদির জমির উপর যান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়, জানালা দিয়ে ইট ছুড়ে মারতে যায়, এতে জালেমা সহ ৩ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে জালেমা খাতুন থানায় একটি জিডি করে যার নম্বর ৪১৪।
২৮.১০. ২০২২ আসামিরা আবার সকাল অনুমান সাড়ে ছয়টার সময় লক্ষ্মী খোলা জালেমা খাতুনের বাড়ির পিছনে যায় এবং নিজ দখলীয় জমিতে লাগানো দুইটি নারিকেল গাছ, ৮টি আম গাছ, দুইটি মালটা গাছ, একটি কাঁঠাল গাছ, একটি পেয়ারা গাছ, একটি সফিদা গাছ, ছয়টি কলা গাছ,কেটে ফেলে,যার মূল্য ৫০ হাজার ক্ষতি সাধন করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জালিমা খাতুন কে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। গালিগালাজ করলেও অসহায় জালিমা খাতুন যেহেতু একা তাদের সামনে না গিয়ে পরে ২৮-১০- ২০২২ তারিখ দৌলতপুর থানায় গিয়ে একটা জিডি করে যার নম্বর ১৭০৫।
জালিমা খাতুন জানান, দৌলতপুর থানায় এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলেও থানা মামলা গ্রহণ করে না এবং পরপর তিনটি জিডি করলেও আসামিদের পুলিশ অজ্ঞাত কারণে গ্রেপ্তার করে না। আসামীদের জমি-জমার কোন কাগজপত্র না থাকায়, কোর্ট জেলেমার পক্ষে রায় দেওয়ায় আসামীরা রেগেফুঁসে গিয়ে তার ওপর মাস ব্যাপি নানা রকম অমানবিক অত্যাচার শুরু করেছে। পরিবারটি বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে ঘটনার তদন্ত অফিসার এসআই ইলিয়াস এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভোটের কারণে খোকসা আছেন, খোকসা থেকে আসার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।