খন্দকার জালাল উদ্দিন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ৬ জুন বেলা ৩ টার সময় দৌলতপুর উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর ছাত্রলীগ সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, উপস্থিত ছিলেন বিপ্লব মুহাম্মদ- দৌলতপুর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক, অনার্স ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমনসহ এলাকার ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা কর্মীবৃন্দ। সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আমানুল্লাহ আমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এ সম্মেলন, গত ৪ জুন দৌলতপুর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি ফি, অনার্স কোর্সে ফরম পূরণের অতিরিক্ত খরচ কমানো, কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী ক্যান্টিন নির্মাণ এবং আগামী ৭ জুন ছয় দফা দিবস উপলক্ষে একটি প্রোগ্রাম করার অনুমতি সহ বেশ কিছু দাবি উপস্থাপনের জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সাদিকুর জামান খান সুমনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান খান সুমন শিক্ষার্থীদের অপমান করে,
স্পষ্ট জানিয়ে দেয় দৌলতপুর কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না। এই কলেজ ক্যাম্পাসে তিনি যেটা বলবেন সেটাই শেষ কথা বলে শিক্ষার্থীদের গালাগালি এবং অপমান করে বের করে দেয়। পরদিন ৫ জুন বুধবার দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের দাবি গুলো আবারো বিবেচনা করার জন্য অধ্যক্ষ সুমন খানকে অনুরোধ করেন।
এ সময় অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লাইসেন্স কৃত বৈধ অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে অধ্যক্ষ সুমনের পোষা ক্যাডার রাজু, বিদ্যুৎ, ছোটন, জাফর ইকবাল এবং কলেজের সহকারি লাইব্রেরিয়ান মমিনুর রহমান মোহন তাদের কোমরে থাকা অবৈধ অস্ত্র বের করে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে।
প্রিন্সিপাল সুমন কর্তৃক তার বৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ওই কলেজেরই ভূগোল বিভাগের প্রদর্শক জহুরুল আলমকে তার অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার জহরুল আলম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করে ছিলেন।
তাই আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুষ্টিয়ার রূপকার মহাবুল আলম হানিফ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, এই সাদিকুজ্জামান সুমনের বৈধ অস্ত্রে লাইসেন্স বাতিল সহ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আমান বলেন এখনো আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই, তবে সাদেকুজ্জামান সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।